Skip to main content

দেশের বেকারত্ব সমস্যায় ফ্রিল্যান্সিং অপরিহার্য

 দেশের বেকারত্ব সমস্যায় ফ্রিল্যান্সিং অপরিহার্য।



বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পন্থা ও সম্ভাবনাময় একটি কাজ হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং।


যদিও বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। তবুও এখানে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারনে সেটা আরো দি-গুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

করোনার ধ্বকলে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হ‌ওয়ায় অনেকেই ঝুঁকেছে অনলাইন ভিত্তিক কর্মসংস্থানের দিকে। 


বিস্তৃত প্রসর কর্মপরিকল্পনা হীনমন্যতা ও স্বল্প পরিকল্পনায় সরকারি ও বেসরকারি খাত গুলোও সামাল দিতে পারছেনা স্বল্পোন্নত দেশগুলো, এই বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারনে সেটা আরো দি-গুন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


করোনার কারনে ছোট, বড় ও বেসরকারি কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বেড়ে যাওয়ায়, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় হীমশিম খেয়ে অনেকেই তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধো করে দিয়েছে। এতে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে ও কর্মহীন হয়ে পরেছে লাখো মানুষ। দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। এতে করে কিছু সংখ্যক মানুষ যাচ্ছে বিপথগামী হয়ে, আর খুব কম সংখ্যক মানুষ‌ই বেছে নিয়েছে বিকল্প কর্মসংস্থান। 


এতে খুব কম সংখ্যক মানুষ‌ই আত্বঃ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নিতে পেরেছে। কেউ কেউ খুলে বসেছে নিজেস্ব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সৃজনশীল সৃষ্টিতে ঝুঁকেছে। তবে এর জন্য স্বল্পপুঁজির দরকার, সবাই কর্মজীবনে আর্থিক সফলতা আনতে অক্ষমতার কারনে পুঁজিহীনতার কারনে সেই বিকল্প কাজটুকুও করতে অপরাগ। কেউ কেউ সল্প পুঁজি নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করে জীবিকায় সফলতা আনতে সক্ষম হয়েছে। 


তাই আমাদের বসে না থেকে করোনা মহামারী মধ্যে কর্ম হারিয়ে আত্বঃ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে । তার জন্যে করোনা কালিন নানা বাধ্য বাধকতায় ঘর থেকে বের হ‌ওয়াই দূষ্কর। এর জন্য স্বল্পপুঁজি ও সহজলভ্য উপায় ফ্রিল্যন্সিং করে অর্থ উপার্জন করা। 


ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল মার্কেটিংএ অনলাইন ভিত্তিক কর্মসংস্থানের বিশাল সম্ভাবনাময় কর্মশালা। সহজলভ্য উপায়ে আপনি এই কাজ শুরু করতে পারবেন। ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন। কোন সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই বললেই চলে। যেখানে সেখানে বসেই ইন্টারনেটের সংযোগ এর মাধ্যমে আপনি এই কাজ গুলো করতে পারবেন। 

এর জন্য আপনাকে একটু ধৈর্য ধরে কাজগুলো শিখতে হবে ও আপনার দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই এন্ড্রোয়েড মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। তাই নতুন কোন পুঁজি লাগছে না খুব একটা। ইন্টারনেট যোগের মাধ্যমে অনলাইনে আপনি আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসে কাজ শিখতে ও শুরু করতে পারবেন। 


তাই আমাদের করোনা কালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। ডিজিটাল যুগে আমাদের একমাত্র আস্থা অনলাইন ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, অর্থ উপার্জন করা, নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, অর্থনৈতিক শ্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার, সুষ্ঠ সুন্দর জীবীকা নির্বাহ করার একমাত্র মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। 


বেকারত্ব দূর ও কর্ম সংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক শ্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও স্বাধীন জীবন নির্বাহ এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর বিকল্প নেই।



  • কনটেন্ট লেখক:-
  • মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • মালয়েশিয়া প্রবাসী।

Comments

Popular posts from this blog

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা

About Freelancing Primary Information  ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা করে অনেকেই ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন এবং অনেকেই এতো টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। যে কোনো লোকের পক্ষে ফুল টাইম জব বা চাকরি করেও এতো টাকা আয় করা সম্ভব না। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাধীন ভাবে আয় করার জন্য, আপনার প্রথমে অবশ্যই কিছু জরুরি কথা ও বিষয়ে জেনে নিতে হবে আপনাকে। এই জরুরি বিষয় গুলি হলো ঃ– ফ্রিল্যান্সিং মানে কি ? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব ? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করবো ? ফ্রিল্যান্সি করে কত টাকা আয় করা যাবে ? আমি কি ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে পারবো ? যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই, কোন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে হবে ? নতুনদের জন্য কিছু সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলি ? তাহলে বন্ধুরা, ওপরে আমার দেওয়া বিষয় গুলির ব্যাপারে সম্পূর্ণ জেনে নেয়ার পর, ফ্রিল্যান্সের ব্যাপারটা আপনার কাছে স্পষ্ট হবে আশাকরি। এসব সবটাই জানার পর। আপনি এইটা বুঝে যাবেন যে, আসলে ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এর দ্বারা অনলাইন টাকা আয় করাটা আপনার জন্য কতটা সম্ভবনাময় বিষয় হতেপারে। ∆সহজভাবে  বললে, ফ্রিল্যান্সিং...